অহরিজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বঞ্চিত হরিজনদের সংবাদ সম্মেলন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫০ শয্যাবিশষ্ট জেলা হাসপাতালে সরকারি পরিপত্র উপেক্ষা করে আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে ৬ জন অহরিজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন হরিজন নেতারা। ওই ৬জনের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়ে তারা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা এই দাবি জানায়।
সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সম্প্রতি ২৫০ শয্যাবিশষ্ট জেলা হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগে হরিজন সম্প্রদায়ের অনেক প্রার্থী থাকলেও তাদের কাউকেই নেয়া হয়নি। লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, সরকারি পরিপত্রে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ হরিজন সম্প্রদায় থেকে নেয়ার যে বিধান আছে তা মানা হয়নি। গত ২৯ জুন হাসপাতালে আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে ৬ জন পরিছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেয়া হলেও হরিজন সম্প্রদায়ের একজনকেও নেয়া হয়নি। এর মাধ্যমে হরিজনদেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির উপদেষ্টা শ্রী রথিন দাস রুবেল।
সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি শ্রী রাজেন হরিজন, সাধারণ সম্পাদক শ্রী জেন্টু হরিজনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় হরিজনদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন. বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার রায়, বাংলাদেশ ব্রাহ্মন সংসদের জেলা সভাপতি শ্রী বিধান ভট্টাচার্য।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ জানান, আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আউটসোসিংয়ের লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা ঠিকাদার নির্বাচন করি। এরপর ঠিকাদার লোকবল সরবরাহ করেন, নিয়োগের বিষয়টি পুরোপুরি ঠিকাদারের ওপর। হাসপাতালের চাহিদার বিপরীতে ঠিকাদারের কাছ থেকে লোকবল বুঝে নেয়ার বাইরে আমার কোনো দায়িত্ব নেই।
হাসপাতালে বিভিন্ন পদে আউটসোসিংয়ের লোকবল সরবরাহ করা ঠিকাদার আশরাফুল ইসলাম জানান, সকল বিধি বিধান মেনেই টে-ারে অংশ নিয়ে লোকবল সরবরাহের কাজটি পেয়েছি। লোকবল সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুনীতি করা হয়নি। হরিজনদের না নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা (হরিজনরা) আগে যোগাযোগ করেনি, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এখন বলছে।