01713248557

অরুণাচলে চীনা দখলদারির অভিযোগ খারিজ ভারতীয় মন্ত্রীর

অরুণাচল প্রদেশে চীনা দখলদারির অভিযোগ খারিজ করেছেন ভারতের সংসদবিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। ভারত ভূখণ্ডের ৬০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে চীনা বাহিনী শিবির বানিয়েছে বলে সম্প্রতি যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, তা সত্যি নয় বলে দাবি করেছেন তিনি। খবর ফাস্ট পোস্টের।  সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিরণ রিজিজু বলেন, ‘ভারতের জমিতে ঢুকে চীনা বাহিনী যদি তাদের ভূখণ্ড বলে লিখে রেখে যায়, তাহলেই তা সত্যি হয়ে যাবে না।’ অরুণাচলের বিজেপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘চীন আমাদের জমি নিতে পারে না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) অনির্ধারিত এলাকায় টহলে ‘ওভারল্যাপিং’ (দু’পক্ষই যাতায়াত করে)। তাদের স্থায়ী কিছু নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয় না। আমাদের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রয়েছে। অনির্ধারিত স্থানে শুধু চিহ্ন আঁকার মানে এই নয়, এলাকা দখল করা হয়েছে।’ কিরণ রিজিজু বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় কিছু মিডিয়ায় দেখানো হয়েছে চীনের পিএএল অরুণাচলের কিছু অঞ্চলে কিছু চিহ্ন এঁকেছে। কিন্তু আমরা সবাই অবস্থান জানি। ভারতীয় সরকার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব খবরে অবহিত আছে। আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট যে চীনা আর্মি বা চীনা ফোর্স তাদের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বাইরে কোনো ধরনের স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করতে পারবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘অরুণাচল প্রদেশে কিছু এলাকা আছে যেসব পুরোটাই অনির্ধারিত। শুরু থেকেই এসবের সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। তাই এমন পরিস্থিতিতে আমাদের ভারতীয় বাহিনী এবং চীনা বাহিনী উভয়ের নিয়ন্ত্রিত এলাকা ক্রস করে। এবং দুর্গম ভূখণ্ড এবং অনির্ধারিত এলাকার কারণে মাঝেমধ্যে টহল দল অনির্ধারিত এলাকায় যায় এবং তারা সেখানে চিহ্ন দেওয়ার চেষ্টা করে এবং কিছু জিনিস মাটিতে ফেলা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রয়েছে। অনির্ধারিত স্থানে শুধু চিহ্ন আঁকার মানে এই নয় যে এলাকা দখল করা হয়েছে।’ গত সপ্তাহে অরুণাচলের অঞ্জো জেলার কাপাপু এলাকায় চীনা বাহিনীর তৈরি করা তাঁবুর খোঁজ মিলেছে বলে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছিল, কয়েক সপ্তাহ আগে ওই এলাকায় চীনা বাহিনী ঢুকে পাথরে চিহ্ন এঁকেছে ও তাঁবু ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনার শেয়ার করা ছবিতেও সেখানে আগুন জ্বালানোর চিত্র, পাথরে চীনা চিহ্ন ও চীনা খাদ্য সামগ্রী পাওয়া গেছে।